মাদকে সয়লাব নাসিরনগর,ধ্বংসের মুখে যুব সমাজ

মাদকে সয়লাব নাসিরনগর,ধ্বংসের মুখে যুব সমাজ

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
জেলার নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন এখন মাদকে সয়লাব। যত্রতত্র হাত বাড়ালেই মিলে এই ভয়াবহ মরণ নেশা। কলেজ শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি , প্রাইমারী স্কুলের দপ্তরী সহ আরো অনেকেই এই মরণনেশা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।এ সমস্ত ভয়ানক মরণ নেশা মাদকের নীল ছোবলে ধ্বংসে হচ্ছে যুব সমাজ। বাড়ছে অন্যায়,অনিয়ম, চুরি, ডাকাতি ছিনতাইয়ের মত অনেক অপরাধমূলক জঘন্য ঘটনা। মাদক দ্রব্য নিয়ন্থ্রন অধিদপ্তর, থানা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের হাতেও বেশ কয়েক জন উল্লেখযোগ্য মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা রয়েছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। মাদক আর জুয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় হামলা হয় ফান্দাউক ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতির উপর। ভাংচুর করা হয় তার দোকানপাট,লুটের নেয়া হয় দোকানের ভিতরে থাকা মালামাল ও নগদ টাকা সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল। এতে আহত হয় প্রায় ২৫ জন। মুমুর্ষ অবস্থায় মাসুক ও খায়রুল ঢাকা এক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ বিষযে মামলাও হয়েছে থানায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনবান্ধব পুলিশ সুপার বর্তমানে অতিঃ ডিআ্ইডি মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম বার বলেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়তো মাদক থাকবে না হয় আমি থাকবো। পুলিশ সুপারের এমন ঘোষনার পরও নাসিরনগরে অহরহর চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। সম্প্রতি চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ ধরমন্ডলের এক আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শের আলীকে ৮০০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। র‌্যাব-৯ সিলেটের অফিসাররা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাসিরনগরের ফান্দাউকে ২০ মার্চ অভিযান পরিচালনা করে মাদক  জাকারিয়া (জাকির) এর বসত ঘর থেকে ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকার মূল্যে ১৭১৫ পিস ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট নগদ ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ২৪ টাকা, ২৪০০ টাকা মূল্যে ৩ বোতল ফেনসিডিল,৭টি মোবাইল সেট,২টি সবুজ কাভারযুক্ত বাংলাদেশী পাসপোর্ট, ৩টি সি,সি ক্যামেরা,১টি ফালচার মোটর সাইকেল,২টি ভিডিও রের্কডার, ১টি মনিটর ও ৪টি বিদেশী কালো টর্চ লাইট উদ্ধার করে। ২২ মার্চ র‌্যাবের এস,আই আল ইমরান বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন
আইনে একটি মামলা রুজু করে। মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে জাকির। সম্প্রতি সরেজমিন বিভিন্ন
এলাকা ঘুরে প্রত্যক্ষদর্শী ও পরোক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা গেছে ধরমন্ডল আর ফান্দাউকে রয়েছে সবচেয়ে বড় মাদকের হাট। ধরমন্ডল ও ফান্দাউকে দুই নেতার ছত্র ছায়ায় চলে রমরমা মাদক ব্যবসা। ধরমন্ডল,ফান্দাউক ছাড়াও হরিপুর, চাপরতলা ,চাতলপাড়, গোয়ালনগর, গোকর্ণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রামের
রমজান ফকিরের বাড়ীতেও চলে মাদক ব্যবসা। বর্তমানে রমজান ফকির ও তার ছেলে মাদক সহ ধরা খেয়ে জেল হাজতে রয়েছে। ফান্দাউক ও ধরমন্ডলের মাদক ব্যবসায়ীরা নাসিরনগর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী মাধবপুর, লাখাই, অষ্ট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে সাপ্লাই দিচ্ছে মাদক। ফান্দাউকে মাদকের ষ্পষ্টগুলোর মধ্যে রয়েছে গাইন বাড়ীর ব্রিজ, গরুর বাজার, পোষ্ট অফিস রোড, গুদাম পট্টি, যশোদাময়ী স্কুলের মাঠ, ইস্কন মন্দির, ভলভদ্র সেতু, বেবী ষ্টেশন উল্লেখযোগ্য। সন্ধ্যার পর থেকেই মধ্য রাত্র পর্যন্ত এ সমস্ত স্পর্ষ্টে চলে মাদক বেচা কেনা। দেখা যায় বিভিন্ন রং বেরংঙের গাড়ী আর নতুন নতুন মুখ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ধরমন্ডলে মহিলাদের দিয়ে বাড়ী বাড়ী বিক্রি করা হচ্ছে মাদক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন বান্ধব পুলিশ সুপার, অতিঃ ডিআইজি মিজানুর রহমান মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করলেও অজ্ঞাত কারণে নাসিরনগরে বন্ধ হচ্ছে না মাদক।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment